শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রচুর সবজি, স্থিতিশীল মাছ-মাংসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রচুর সবজি, স্থিতিশীল মাছ-মাংসের দাম

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে আসছে অনেক সবজি, দামও কমতে শুরু করেছে, স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম। গতকাল রাজধানীর মিরপুর-১, ১০ এলাকার বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সবজির পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে সবজির চালান ভালো। শীতের সবজির বাজার ভরপুর থাকায় দাম আরও কমতে পারে। ফারুক হোসেন নামে মিরপুর-১ নম্বর সেকশন হযরত শাহ আলী সিটি করপোরেশন বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, নির্বাচন সামনে রেখে বেশিরভাগ আড়তদার মজুদ শুরু করেছেন। তবে সব সবজি মজুদ করা যায় না। তাই সেগুলোর দাম পড়ে যাচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে আনা দামের সঙ্গে পাইকারি দামের পার্থক্য অনেক। অর্থাৎ কৃষকরা অনেক কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, গাঁজরের দাম কমেছে ১০ টাকা, ১০ টাকা বেড়েছে  ঢেঁড়সে। ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম কমেছে মুলায়। ২০ টাকা কমেছে বেগুনে। করলায় কমেছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি পাকা টমেটো ৮০ টাকায়, শিম ৪০ টাকায়, শসা ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৬০, ঢেঁড়স ৫০, মুলা ২৫, বেগুন ৩০, কচুরলতি ৫০, ঝিঙা ৪০, করলা ৪০, কাকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আবার লাউয়ের দাম কমেছে ১০ টাকা। প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকায়, লাউ ৪০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি কলমিশাক, লালশাক ৬ থেকে ১০ টাকা, লাউশাক ২৫ টাকায়, পালংশাক, পুঁইশাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গতকাল মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের এক বাজারে এসেছেন বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত শামীম।

তিনি  বলেন, শুধু নতুন আলুর দামটা বেশি। এদিকে চালের বাজারে গতকাল প্রতি কেজি  মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্বর্ণা চাল ৩৮, মোটা চাল ৩৫, বিআর-২৮ ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০, মসুর ডাল মোটা ৭০, মুগ ডাল ১২০, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ ও বোতলজাত ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ১৪০, রসুন (ভারতীয়) প্রতি কেজি ৫০ ও দেশি রসুন ৪০, পিয়াজ (দেশি) ৩০, ভারতীয় ২০ এবং পুরনো  আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাফরুল এলাকার খুচরা বিক্রেতা জসিম জানান, নতুন আলু গত সপ্তাহে বাজারে ঢুকেছে। তখন দাম আরও বেশি ছিল। শুরুতে ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত দাম ছিল। ভাষানটেক এলাকায় বাজার করতে আসা রফিক চৌধুরী বলেন, বাজারে চালান বেশি তারপরও আলুর দাম বেশি। এ বাজারে মিরপুরের অন্য এলাকার তুলনায় একটু কম দামে জিনিসপত্র কেনা যায়। তারপরও এখানে নতুন আলুর কেজি ৫০ টাকা। অন্য জায়গায় ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারভেদে কোথাও কোথাও মাছে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি প্রতি দাম বাড়তে দেখা গেছে। তবে মাছ ব্যবসায়ীদের মতে, মাছের দাম সবচেয়ে বেশি ওঠানামা করে। কিন্তু এ মাসের শুরু থেকে দাম একই। বাজারে ক্রেতাদের এখন সম্পূর্ণ নজর সবজির দিকে।

৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০-১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের হালি ১০০০-১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি জোড়া ৭০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০-৫০০, শিং ৪০০-৫০০, পাবদা ৫০০-৬০০, চিংড়ি ৫০০-৮০০, পাঙ্গাশ ১২০-১৪০,  কৈ ১৬০-২০০, তেলাপিয়া ১২০-১৬০ টাকায়, কাচকি ২৫০-৩৫০, মলা ২৭০-৩৫০, নলা ১৫০-১৮০, রুই ১৮০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৩০-২৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর