রাজশাহীতে দুই জোটেই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি জোটে ক্ষোভ থেকে প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে জামায়াত ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে জাতীয় পার্টির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। জামায়াত স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হলেও জাতীয় পার্টির নেতারা দলের মনোনয়নেই প্রার্থী হয়েছেন। জানা গেছে, রাজশাহীর দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে চায় জামায়াত। দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় ২০ দলীয় জোটের মধ্য থেকেই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটি। গতকাল রাজশাহী-৩ ও রাজশাহী-১ আসনে দলের নেতারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজশাহী-১ আসন থেকে ১৯৮৬ সালে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ কারণে তারা আবারও ২০ দলীয় জোটের কাছে এ আসনে তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন চেয়েছিল। রাজশাহী-৩ আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মাজিদুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজশাহী জেলা (পশ্চিম) জামায়াতের আমির আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা দুটি আসন চাই। কিন্তু জোট তাদের কোনো আসন দেয়নি। যেহেতু এখনো সময় আছে, এ কারণে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রাখলাম। জোটের সঙ্গে আলোচনা করব। অন্তত একটি আসনে এবার আমরা দলের প্রার্থী চাই।’ তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, জোটের মধ্যে মান-অভিমান থাকে। সে থেকেই জামায়াত হয়তো প্রার্থী দিয়েছে। আলোচনা করে সব ঠিক করে ফেলা হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোটেও দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। রাজশাহী-৩ আসনটি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী-৫। এ কারণে রাজশাহীর চারটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চু জানান, তারা রাজশাহী-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে দাবি জানিয়েছেন। যদি প্রার্থী পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি নৌকায় ভোট দেবে না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যোগ্য ও জনপ্রিয়দের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। জাতীয় পার্টির কোনো দাবি থাকলে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।