বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডেসটিনির হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে

বিনিয়োগকারীদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও অর্থ লুট, ধ্বংস ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডেসটিনি গ্রুপের ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা। এ ছাড়া ডেসটিনির কেনা সম্পত্তি পুলিশের হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে কুচক্রী মহলের দখলে চলে যাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ডেসটিনির বিনিয়োগকারী, ক্রেতা-পরিবেশকদের পক্ষে একটি নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি এসব অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের কষ্টের জমানো টাকায় গড়া সব অর্থ ও সম্পদ রক্ষার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন, মোহাম্মদ রফিকুল আমীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কর্মসংস্থান ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম। কমিটির আহ্বায়ক মো. মোশারফ হোসেনসহ সাত সদস্যের সবাই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে রাজধানীর আনন্দ, ছন্দ সিনেমা হলের কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব নেই। এসব সিনেমা হলের প্রতি মাসের আয় ২০-২৫ লাখ টাকা। ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এসব আয় সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু সঠিকভাবে তা হচ্ছে না। টাকা কোন অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে জানেন না বিনিয়োগকারীরা। এক প্রশ্নের উত্তরে শহীদুল ইসলাম জানান, আনন্দ সিনেমা হলের পাশে নির্মাণাধীন ভবনটিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩ হাজার কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ডেসটিনির আয়ের অর্থ ডেসটিনির ক্রেতা ও পরিবেশকরা পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছেন না। আদালতের নির্দেশে পুলিশকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও ডেসটিনির স্থাপত্য ও অর্থ লুটপাট ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একদিকে কোম্পানির শীর্ষ পরিচালকদের জামিন হচ্ছে না, অন্যদিকে সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ডেসটিনির সম্পত্তি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় কুচক্রী ও দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে। বেদখল হওয়া ডেসটিনির এসব সম্পদের দায়ভার কে নেবে? জাতির কাছে প্রশ্ন রাখেন ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিনিয়োগকারী শরিফুল ইসলাম গাজী, শারমিন আক্তার স্বর্ণা, মোহাম্মদ আবুল হাসান, ওয়াসিম আক্তার, শহীদ হোসাইন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর