বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নির্বাচনী টুকিটাকি

দুই দলের ডজনখানেক নেতার নির্বাচন শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পর বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীমসহ ডজনখানেক বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, হাই কোর্টের এমন আদেশে এসব নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হন। হাই কোর্টের এ আদেশ গতকাল বহাল রেখেছে আপিল বিভাগও।

দুদকের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীম ভোলা-২, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ঢাকা-১৬ থেকে, আমানউল্লাহ আমান ঢাকা-২, শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১, এ কে এম মোশাররফ হোসেন ময়মনসিংহ, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল চট্টগ্রাম-৫ থেকে, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া খাগড়াছড়ি-১, আবদুল ওয়াহহাব ও মশিউর রহমান ঝিনাইদহ থেকে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ-১, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী কুমিল্লা-৪ থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে আপিল বিচারাধীন থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনে ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আইনজীবীরা বলেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করবেন। নয়তো এটা আদালত অবমাননা হবে। গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশই আপিল বিভাগে বহাল আছে। নির্বাচন কমিশন আদালতের এ আদেশ মানতে বাধ্য। ফলে বিএনপির আবেদনকারী পাঁচ নেতা, খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিত কেউ এবার নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে। এই অনুচ্ছেদের (২) (ঘ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে’, তাহলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। আবার গণপ্রনিতিধিত্ব অধ্যাদেশেও (আরপিওতে) একই কথা বলা হয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহীমের পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন : অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালে জজ আদালত হাফিজ ইব্রাহীমকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে বিএনপির এই নেতা হাই কোর্টে আপিল করলে তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ওই অভিযোগ থেকে খালাস দেয় আদালত। তবে একই মামলায় আরেক ধারায় সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে নিম্ন আদালত এই বিএনপি নেতাকে দিয়েছিল তিন বছরের কারাদণ্ড। হাই কোর্টে এ দণ্ডটি বহাল থাকে। গতকাল হাই কোর্টের এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরই হাফিজ ইব্রাহীমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ক্রিমিনাল মিস পিটিশন (সিএমপি) দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর