তরুণ প্রজন্মকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের মুখপাত্র হয়ে ড. কামাল মাঠে নেমেছেন। তিনি দেশ তুলে দিতে চান-রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষক ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তারেক, খালেদার হাতে। আসলে তিনি তারেক জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাচ্ছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। জনগণ ও তরুণ সমাজকে তিনি বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু এ দেশের তরুণরা তা হতে দেবে না। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘আসন্ন নির্বাচন : তরুণ প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে গতকাল বক্তারা এসব কথা বলেন। এই সেমিনার থেকে আহ্বান জানানো হয়, তারুণ্যের প্রথম ভোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হোক। ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’ সিরিজ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, কলামিস্ট সুভাস সিংহ রায়, বিএমএ নেতা প্রফেসর ডা. মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ডা. ইফতেখার আলম অনন্ত, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সারিতা মিল্লাত, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক নয়ন, মতিউর রহমান লাল্টু, ইয়ংম্যানস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, নন্দন হাসান প্রিয়, ইশতিয়াক আহমেদ তানভীর, জান্নাতুল নাইম সিম্মিসহ সদ্য ভোটার হওয়া একঝাঁক তরুণ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও সাংবাদিক আলী হাবিব।
সাবেক সচিব আতিকুর রহমান বলেন, বিএনপির কোনো সদস্য যাতে কোনো আসনে (নির্বাচিত হয়ে) আসতে না পারে তরুণ সমাজকে তা দেখতে হবে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তরুণদের। এবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এই তরুণ সমাজ। আওয়াজ একটাই তারুণ্যের প্রথম ভোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হোক। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মিত হয়েছে যে তরুণদের হাতে, সে দেশের তরুণরা ভুল করতে পারে না, ভুল করবে না। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, একটি ভোট শুধু একটি সরকার বদল করে না, সেই সঙ্গে একটি জাতির গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারে। সম্মুখযাত্রার পথও রুদ্ধ করে দিতে পারে।