শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মহাজোটে অসন্তোষ বিএনপিতে অস্বস্তি

খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ ও ৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করেছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না হলে আলাদাভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের নেতারা। অপরদিকে বিএনপি জোট খুলনার অধিকাংশ আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়ে কৌশলগত অবস্থান নিলেও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। খুলনা-৩, ৪, ৫ ও ৬ আসনে বিএনপির নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি আসনে বিএনপির ব্যানারে রয়েছেন জোটের শরিক জামায়াতের প্রার্থী। ফলে শেষ পর্যন্ত কে জোটের প্রার্থী হবেন এ নিয়ে রয়েছে টানাপড়েন। জানা যায়, খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয় প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা-১ ও ৬ আসনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রার্থী দিয়েছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়। খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন জেলা জাপা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। এদিকে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে খুলনার পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন করেছে জাতীয় পার্টি। খুলনা-৬ আসনের জাপা প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে  আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে অবশ্যই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।’

তবে খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। জাতীয় পার্টি এখানে প্রার্থী দিলেও আমি সেটাকে সমস্যা মনে করি না।’ এদিকে দলের একাধিক প্রার্থী থাকার বিষয়ে খুলনা নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘কৌশলগত কারণে এটা করা হয়েছে। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগেই কে নির্বাচন করবেন এটা ঠিক হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থেকেই আমরা নির্বাচন পরিচালনা করব।’ আর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, খুলনায় বিএনপি-জামায়াতে কোনো টানাপড়েন নেই। নির্বাচনবিধি অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি যাকে দেওয়া হবে তিনিই দলের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সর্বশেষ খবর