শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শরিক নিয়েই মহা সংকটে মহাজোট

চট্টগ্রাম

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

অভিজ্ঞ মাঝিদের হাতে নৌকা তুলে দেওয়ার পরও চট্টগ্রামে মহাসংকটে পড়েছে মহাজোট। একদিকে যুক্তফ্রন্ট-বিএনপিকে ভোটের মাঠে মোকাবিলা, অন্যদিকে মনোনয়নবঞ্চিত দল ও মিত্র দলের প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ-অস্থিরতা পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই জোটকে। চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার ১৬টি আসনের তিনটিতে মহাজোটের শরিকদলীয় প্রার্থীরা নৌকা পেয়েছেন। আর চট্টগ্রাম-২ ও চট্টগ্রাম-৪ আসনে খোদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত দুই বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে এখনো জাপার সঙ্গে সমঝোতা হয়নি আওয়ামী লীগের। আর চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে জাপার প্রেসিডিয়াম   সদস্য বর্তমান এমপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বাদ পড়ায় জাপা কর্মীদের চাপা অসন্তোষ তো রয়েছেই। তারপরে প্রায় সবকটি আসনেই মহাজোট ও জাপা (এরশাদ) নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটে’র ইসলামী দলগুলো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। মিত্র দল বিকল্প ধারা নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি আসন (ফটিকছড়ি) নিয়ে হিস্সা আদায় করতে। এদিকে, সবকটি আসনেই কমবেশি আওয়ামী লীগের নিজেদের মনোনয়নবঞ্চিতদের চাপা ক্ষোভ ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা আছে। জোটের ১৪ দলের মধ্যে ১১ দলের সক্রিয়তা আছে চট্টগ্রামে। এর বাইরে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় মহাজোট।

এই জোটে আছে নবসৃষ্ট বাংলাদেশ জাসদ। এদিকে, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নেতৃত্বে সমমনা দল নিয়ে গড়া ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ভুক্ত ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রামের ১৬টির মধ্যে ১২টিতে ও আওয়ামী লীগের মিত্র দল হিসেবে পরিচিত ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ১৪টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। জাসদ (ইনু) শহর, উত্তর ও  দক্ষিণে তিনটি আসনে এবং ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম সদর আসন খ্যাত চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। মহাজোটের শরিকরা এমন অবস্থায় উদ্বেগ জানালেও আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা নিয়ে হিস্সা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছেন। চট্টগ্রামের মহাজোটের অন্যতম নেতা চট্টগ্রাম-১১ আসনের জাসদ প্রার্থী জসিম উদ্দিন বাবুল প্রার্থিতা নিয়ে মহাজোটের অসন্তোষের কথা স্বীকার করলেও বলেছেন, ‘আসন বড় কথা নয়। আদর্শিক ঐক্যটি বড়’।

সর্বশেষ খবর