মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পত্রিকার মানে সন্তুষ্ট রাঙামাটির পাঠক

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পত্রিকার মানে সন্তুষ্ট রাঙামাটির পাঠক

বাংলাদেশ প্রতিদিন রাঙামাটিতেও চাহিদার শীর্ষস্থানে বলে জানিয়েছেন সংবাদপত্র এজেন্ট ও পাঠকরা। বই একাডেমির মালিক ও সংবাদপত্র এজেন্ট বিকাশ দাশ (সজল) বলেন, খবর ও মানে অনেক উন্নত বাংলাদেশ প্রতিদিন। একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের পাশাপাশি বাস্তব চিত্র অনুধাবিত হয় এ পত্রিকার খবরে। তাই পাঠকের আকর্ষণ বেশি। এজন্য পাহাড়ে দিন দিন বাড়ছে গ্রাহকদের চাহিদাও। কিন্তু রাঙামাটিতে চাহিদার তুলনায় পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশ প্রতিদিন। এর কারণ জানতে চাইলে বিকাশ দাশ বলেন, অন্যান্য জেলার মতো রাঙামাটিতে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো নয়। এ ছাড়া পরিবহন সুবিধা একেবারে নেই। চট্টগ্রাম থেকে বিরতিহীন বাসে করে পাঠানো হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন। রাঙামাটি পৌঁছায় ১১ থেকে ১২টার দিকে। অনেক সময় সারা দিন লেগে যায়। কিন্তু যেসব পত্রিকা চট্টগ্রাম থেকে ছাপা হয় সেগুলো চলে আসে ভোর হওয়ার আগে। তাও আবার তাদের নিজস্ব পরিবহনে। যদি বাংলাদেশ প্রতিদিন সকালে পাঠানোর ব্যবস্থা থাকে তাহলে এজেন্ট ও গ্রাহকরা খুশি হবেন। পত্রিকার প্রচার আরও বাড়বে, সহজে বিক্রি করা যাবে। কারণ রাঙামাটির ৬টি উপজেলায় নদীপথে যাতায়াত করতে হয়। সকাল ৮টাই লঞ্চে তুলে দিতে না পারলে সেখানে আর পত্রিকা পাঠানো যায় না। সংবাদপত্র এজেন্ট ব্যবস্থাপক খোকন দেবনাথ বলেন, গ্রাহক ও পাঠকের চাহিদা থাকার পরও আমরা বাংলাদেশ প্রতিদিন দিতে পারছি না। কারণ একটাই চট্টগ্রাম সংবাদপত্র এজেন্ট থেকে পত্রিকা দেরিতে রাঙামাটি পাঠায়। তবে দেরিতে এলেও বিক্রি করতে সময় লাগে না। চট্টগ্রাম থেকে যদি তাড়াতাড়ি পত্রিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ঘুম থেকে ওঠার আগে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এতে গ্রাহক ও পাঠকরা খুশি হবেন, তেমনি হকাররাও লাভবান হবেন।

সর্বশেষ খবর