সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নির্বাচনী হাওয়া সারা দেশে

ধানের শীষ শূন্য রাজশাহীর দুই আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ধানের শীষ শূন্য রাজশাহীর দুই আসন

রাজশাহীর দুটি আসনে নেই ভোটের আমেজ। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও চলছে একপক্ষের। কারণ এ দুটি আসনে নেই ধানের শীষের প্রার্থী। এখানকার ছয়টি আসনের মধ্যে দুইটি আসন বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী শূন্য। এ দুটি হচ্ছে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসন। বিএনপির দুই নেতা নাদিম মোস্তফা ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডলের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি প্রার্থী শূন্য হয় রাজশাহী-৫ আসনে। আর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সময়মতো পদত্যাগ না করায় আদালত মনোনয়নপত্র বাতিল করে রাজশাহী-৬ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবু সাঈদ চাঁদের। রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র দেয় চারজনকে। এরা হলেন- দুবারের সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ও বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবিবা। তারা চারজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে এদের মধ্যে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন নাদিম মোস্তফা। যাচাই-বাছাইয়ে নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র পান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি সেটি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আপিল বিভাগ থেকে নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা  বৈধ ঘোষণা হলে নজরুলের দলীয় মনোনয়ন বাতিল করে আবার নাদিমকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেয় দলটি। ফলে নজরুলের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নাদিম মোস্তফাকে ধানের শীষ প্রতীক দেন রিটার্নিং অফিসার। প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে পড়েন নাদিম মোস্তফা। এরপর শুরু হয় বিএনপির এই দুই নেতার আইনি লড়াই। নাদিম মোস্তফার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে নজরুলের পক্ষে থেকে দুইটি রিট আবেদন করা হয়। গত ১৭ ও ২০ ডিসেম্বর এই দুই রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে হাই কোর্ট বেঞ্চ। গত ১৭ ডিসেম্বর হাই কোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শুনে নাদিম মোস্তফার ধানের শীষ প্রতীক বাতিল করে নজরুল ইসলাম প্রতীক দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর ২০ ডিসেম্বর অপর রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাই কোর্ট বেসিক ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ফলে বিএনপির প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে এ আসনটি।

অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমার পিতাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টের আদেশের কপি গত বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি অফিসিয়ালি প্রক্রিয়াধীন আছে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর