মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

৫০ হাজার টনি জাহাজ ভিড়বে মোংলায়

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

মোংলা বন্দরের আউটার চ্যানেল ড্রেজিং করে এর নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যাতে ওই বন্দরটিতে ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার জাহাজ ভিড়তে পারে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, বর্তমানে মোংলা বন্দরের আউটার বার এলাকায় কম গভীরতার কারণে ৮ দশমিক ৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। তাই আউটার বার এলাকা খননের মাধ্যমে গভীরতা বাড়াতে চায় সরকার। এ খনন কাজ সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারবে সাড়ে ১০ দশমিক মিটার ড্রাফটের ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার বিশাল আকৃতির ‘মাদার ভেসেল’। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, অবস্থানগত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ভারত, নেপাল এবং ভুটানের মালামাল হ্যান্ডলিং ও পরিবহনের সহজ সুযোগ রয়েছে মোংলা বন্দরে। কিন্তু অ্যাংকরেজ এলাকায় ১০ দশমিক ৫ মিটারের ঊর্ধ্বে জাহাজ ভেড়ার সুযোগ থাকলেও আউটার বার এলাকায় কম গভীরতার কারণে ৮ দশমিক ৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। এ জন্য মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বার এলাকায় গভীর ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সূত্র জানায়, হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড-চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের সঙ্গে ১৩ ডিসেম্বর চুক্তিটি স্বাক্ষর করে নৌ পরিবহন     মন্ত্রণালয়। এর আগে গত অক্টোবরে ৫৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে আউটার বার খননে একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বিষয়টি নিশ্চত করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মোংলা বন্দরে ড্রেজিং সম্পন্ন করার জন্য যে ক্ষমতার ড্রেজার দরকার, সেটি আমাদের দেশে নেই। সে কারণে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রে হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে। সচিব জানান, প্রথমে পরিকল্পনা ছিল মোংলা বন্দরের ড্রেজিংকৃত বালু সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হবে। দেখা যাচ্ছে ড্রেজিংকৃত বালু সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার চেয়ে এটি দিয়ে চরাঞ্চলের আয়তন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে সেটি দেশের জন্য ইতিবাচক হয়। সে লক্ষ্যে মোংলার বালু দুবলারচরে যে জায়গায় রাসমেলা হয় সে এলাকায় ফেলে আয়তন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মোংলা বন্দরের নাব্যতা বাড়বে তেমনি দুবলারচর দৈর্ঘ্যে বড় হবে।

 

সর্বশেষ খবর