মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোট-নোট দুটোই চান কাস্তে মার্কার প্রার্থীরা

রুহুল আমিন রাসেল

নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোট চাইবেন, এমনটাই ধারণা সাধারণ ভোটারদের। কিন্তু এবার ঢাকা-১৫ আসনে কাস্তে মার্কার প্রার্থী ডা. আহমেদ সাজেদুল হক রুবেল গণসংযোগকালে শুধু ভোট নয়, নোটও (টাকা) চান। তার মতো কাস্তে মার্কার অন্য প্রার্থীরাও নির্বাচনের মাঠে ভোট ও অর্থ সহায়তা চাইছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ‘ভিশন মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ স্লোগানে কাস্তে মার্কার প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। রাজধানীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৫ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির কাস্তে মার্কা নিয়ে লড়ছেন রুবেল। তিনি গতকাল রাজধানীর কাজীপাড়ার ইটখোলা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী তহবিলে অর্থ সহায়তাও চান। এ প্রসঙ্গে কাস্তে মার্কার প্রার্থী ও দলটির ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ সাজেদুল হক রুবেল গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করবে। তাই সাধারণ মানুষের টাকায় নির্বাচন করছে। আমরা ভোটারদের কাছে ভোট ও টাকা চেয়ে একটি কথা পরিষ্কারভাবে বলছি- কোনো মজুতদার বা আড়তদারের টাকা নিয়ে নির্বাচন করছি না। তাই জয়ী হতে পারলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাব। সাধারণ ভোটাররাও ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে নির্বাচনে অর্থ সহায়তা করছেন। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান শরিক কমিউনিস্ট পার্টি সারা দেশে ৭৪টি সংসদীয় আসনে কাস্তে মার্কায় প্রার্থী দিয়েছে। আর জোটগতভাবে বাম জোট প্রার্থী দিয়েছে ১৪৭ আসনে। জানা গেছে, সারা দেশে কাস্তে মার্কার প্রার্থীদের ভোটের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে, তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নির্বাচন পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে দেশের প্রাচীন এই বামপন্থি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকেও অর্থ সহায়তা নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিবি সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অন্য দলগুলো টাকা দিয়ে ভোট কিনে। তারা লুটেরাদের টাকায় নির্বাচন করছে। তাই ক্ষমতায় গিয়ে ভোটারদের মনে রাখে না। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টি বা কাস্তে মার্কার প্রার্থীরা জনগণের টাকায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন করছে। তাই সারা দেশের জনগণের কাছে ভোট ও নোট (টাকা) দুটোই চাইছেন আমাদের প্রার্থীরা। এতে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। জানা গেছে, এবার নির্বাচনে ৯৯ ভাগ মানুষের পক্ষে ভোট চাইছেন কমিউনিস্ট প্রার্থীরা। তারা বলছেন, দেশের রাজনীতিতে দুটি পক্ষ আছে। একটি হলো- লুটেরা এক ভাগের পক্ষ। আরেকটি হলো- লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে শোষিত ৯৯ ভাগের পক্ষ। এবার ৯৯ ভাগ মানুষের পক্ষের শক্তি স্বাধীন অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কমিউনিস্ট পার্টি।

 

সর্বশেষ খবর