বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভোটের মাঠ মাতিয়ে তুলেছেন সোহেল তাজ

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্

ভোটের মাঠ মাতিয়ে তুলেছেন সোহেল তাজ

আর মাত্র তিন দিন পরই হবে কাক্সিক্ষত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই অল্প সময়ে প্রার্থীরা যে যার মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে রাত-দিন ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। তবে গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনের চিত্রটা যেন একটু ভিন্ন। এবারের ভোটের মাঠ মাতিয়ে তুলেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। সেই সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ, পথসভা করছেন সোহেল তাজ। আর সাধারণ মানুষ সোহেল তাজকে পেয়ে অন্য রকম ভোট উৎসবে মেতে উঠেছেন। সোহেল তাজ আসবেন এমন অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায় গ্রামের মানুষদের। কারণ হিসেবে এখানকার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আমাদের কাপাসিয়া তথা পুরো বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেতা হলেন সোহেল তাজ, যিনি ক্ষমতার লোভ না করে মন্ত্রিত্ব ও এমপি থেকে পদত্যাগ করেন। আর সেই প্রিয় নেতা যখন রাগ, গোস্যা ভেঙে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন, তখন কি আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি? এ কথাগুলো বলেন, টোকনগর বাজার এলাকার ষাটোর্ধ্ব হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, সোহেল তাজ চলে যাওয়ায় আমরা এক ধরনের রাজনীতি থেকে চুপ ছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই নেতা যখন আবার ভোট চাইতে এসেছেন তখন আমরাও মাঠে নেমে পড়লাম। একই কথা বলেন ওই এলাকার প্রবীণ চানু মেম্বার। সরজমিনে দেখা যায়, গাজীপুরের উত্তরসীমান্ত টোকনয়ন বাজারে একটি পথসভায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র পুত্র তানজিম আহমদ সোহেল তাজ অংশ নেবেন বিকাল ৩টায়। এ জন্য দূরদূরান্ত থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন সোহেল তাজকে দেখতে ও তার মুখ থেকে একটু কথা শুনতে। কিন্তু ৩টার সময় না এসে এলেন রাত সাড়ে ৮টায়। সময়ের এত ফারাক থাকার পরও নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ বিরক্ত হননি। যেন তাদের মাঝে উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি নেই। তাদের প্রিয় সোহেল তাজ এসেছেন এতেই তারা খুশি। সোহেল তাজ বলেন, সবারই একটা পরিচয় আছে। আর সেই পরিচয় হলো আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি। ঠিক তেমনি একটা দেশেরও পরিচয় আছে। তেমনি বাংলাদেশেরও একটা পরিচয় আছে। আর বাংলাদেশের পরিচয় জানতে হলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস কী। বাংলাদেশ একটা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। আর এ জন্য ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়েই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন, আপনারা যে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন তখন তো আপনাদের বয়স কম ছিল। আপনারা যুবক ছিলেন। ১৪, ১৫, ১৬ বছরের যুবক ছিলেন। তখন তো এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে রক্ষণশীল ও ভয়ানক বাহিনী ছিল পাকিস্তানের। তারা সামরিকভাবে সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল। সেই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আপনারা বুকে এত সাহস পাইলেন কীভাবে। থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে। তখন এই মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা একটা বিশ^াসের কারণে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা একটা স্বপ্নের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা একটা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা স্বাধীন হওয়ার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম।

আমরা সোনার বাংলার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বলেন, আপনাদের প্রধানমন্ত্রী কে? শেখ হাসিনা। তো শেখ হাসিনা কে। শেখ হাসিনা হলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আর বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তো বঙ্গবন্ধুর কন্যা কী করবেন। সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। তিনি বলেন, আপনাদের এমপি কে? সিমিন হোসেন রিমি। আর তিনি কে? বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা। বাংলাদেশে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কন্যা কি কাপাসিয়ার উন্নয়ন করবেন? অবশ্যই করবেন। কারণ যে তাজউদ্দীন আহমদ সোনার বাংলা স্বাধীন করেছেন, সেই তাজউদ্দীনের কন্যা কি সোনার বাংলা করবেন না। অবশ্যই করবেন। তিনি বলেন, তো আবারও এই আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করুন।

সর্বশেষ খবর