শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাজশাহী

নাদিমের ‘বসাইয়া দাও’ নির্দেশ নিয়ে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন থেকে ছিটকেপড়া দলটির আরেক নেতা নাদিম মোস্তফা। মঙ্গলবার রাতে মোবাইল ফোনে রেজাউল নামের একজনকে এ নির্দেশ দেন বিএনপির দুইবারের সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। তার নির্দেশের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ফোনালাপে নাদিম মোস্তফার কথা  হয় দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তার ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত রেজাউল করিমের। এ ফোনালাপে সুযোগ মতো নজরুলকে বসাইয়া (হত্যা) দেওয়ার নির্দেশ দেন নাদিম মোস্তফা।

ফোনালাপে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন নাদিম ও রেজাউল। এরপর রেজাউল বলেন, ‘দুর্গাপুরে বাজারে নজরুল এসেছিল।’

নাদিম মোস্তফা : ‘কোথায় আসছে?’

রেজাউল : ‘দুর্গাপুর বাজারে।’

নাদিম মোস্তফা : ‘শালাকে মারতে পারলে ভালো হয়। কতজন আছে, কতজন আছে?’

রেজাউল : ‘মাত্র কয়েকজন আছে। মারলে তো কালকেই মারতে পারতাম। মারতে দেয়নি, এক মিনিট দাঁড়াইতে দেইনি দুর্গাপুর বাজারে।’

নাদিম মোস্তফা : ‘এখন সুযোগ পাইলে বসাইয়া দাও।’

এদিকে নাদিম মোস্তফার এই ফোনালাপ ফাঁসের পর রাজশাহী বিএনপিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর নিজ দলের নেতার হত্যার পরিকল্পনার কারণে নিরাপত্তাহীনতার আছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি বুধবার এ কারণে প্রচার চালাননি।

জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন তথ্য গোপন ও ঋণখেলাপির কারণ দেখিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাদিম মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল করেন। তাই রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপি নজরুল ইসলাম ম-লকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। পরে নাদিম মোস্তফা আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে দল তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করে। প্রতীক পেয়ে তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েন। এদিকে নাদিম মোস্তফাকে দলীয় প্রতীক দেওয়ায় নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে একটি আপিল আবেদন করেন।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ২৭ ডিসেম্বর আদালত নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা বাতিল করে নজরুল ইসলাম ম-লকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর অপর একটি রিটে গত ২০ ডিসেম্বর হাই কোর্ট ঋণখেলাপির দায়ে নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল করে।

সর্বশেষ খবর