রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
অপেক্ষা শেষ ভোট উৎসবের

সিলেটের ছয় আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটের ছয় আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

সিলেটের ছয়টি আসনেই এবার প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী যেসব আসনে রয়েছেন, সেসব আসনে নির্বাচনী লড়াই ভিন্নমাত্রা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর সিলেটের ছয়টি আসনের সব প্রার্থীকে জোরেশোরে মাঠে নামতে দেখা গেছে। এবার কোনো আসনেই একক প্রার্থীর দিকে জয়ের পাল্লা ভারী না হওয়ায় সব প্রার্থীই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সিলেট-১ আসনে এবার প্রার্থী আছেন ১০ জন। তবে এখানে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের ড. এ কে মোমেন ও বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের মধ্যে। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া মোমেন স্থানীয় আওয়ামী লীগকে এক সুতোয় বেঁধে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির খন্দকার মুক্তাদিরও প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ছেন। তার বাবা এ আসনের এমপি ছিলেন। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোনো দলেরই প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দিয়েছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে। আর বিএনপি ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে মনোনয়ন দিলেও আদালতে আটকে গেছে তার প্রার্থিতা। ফলে গণফোরামের মোকাব্বির খানকে এ আসনে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সিলেট-৩ আসনে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী। উভয় প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। অবশ্য আসনটিতে জাতীয় পার্টির উছমান আলী প্রার্থী হওয়ায় দলটির ভোট আওয়ামী লীগের বাক্সে যাবে না।

সিলেট-৪ আসনে একাধিকবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান আহমদের দিকে পাল্লা কিছুটা ভারী বলে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। তবে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিমও। এ দুই নেতার মধ্যেই এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ।

সিলেট-৫ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি ছাড়াও আরও চারটি দলের ও স্বতন্ত্র থেকে একজন প্রার্থী রয়েছেন।

সিলেট-৬ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবারও আসনটিতে আওয়ামী লীগের জয় দেখতে প্রচারণায় ঘাম ঝরিয়েছেন তিনি। বিগত দিনের উন্নয়নের কথা বলে চেয়েছেন ভোট। তবে প্রায় দেড় দশক পর এ আসনে বিএনপি নিজদলীয় নেতাকে প্রার্থী করায় দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে নিজের পক্ষে ‘গণজোয়ার’ দেখতে পাচ্ছেন বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর