রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

নেতা-কর্মীদের শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত আমাদের ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত আমাদের নিজেদের কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে এবং কোনো ধরনের অপপ্রচারের কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাবে এ কথা বলে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে  পারে। এটা তাদের  অপকৌশল। সরে যাওয়ার কথা বলে তারা কেন্দ্র দখল করতে পারে। তাই আমাদের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাব এই নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ভোটকেন্দ্রে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। এ ছাড়া ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে হবে।  এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে এটা আমরা আশা করি। তারপরও ফলাফল যা-ই হোক বা জনগণ যদি আমাদের ভোট না দেয়, আমরা সেটা মেনে নেব এবং স্বাগত জানাব। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমরা আশা করি, জনগণ এই সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে।

আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে বলে প্রচার রয়েছে। আমরা ভোটার, আমাদের দলের নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে জানাতে চাই এটা বিএনপির এক ধরনের অপকৌশল। সরে যেতে পারে এই কৌশল নিয়ে সবাইকে অপ্রস্তুত করে কেন্দ্র দখল করতে পারে। আমরা সবাইকে বলব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কেন্দ্রে থাকতে হবে, ভোটের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভোটের ওপর নির্ভর করবে দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে না আবার দেশ মুখথুবরে পড়বে। আমরা আশা করি নির্বাচনে জনগণের ভোটে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আখতারুজ্জামান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, ডা. রোকেয়া সুলতানা, আবদুস সবুর, বিপ্লব বড়ুয়া, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশীদ, মোল্লা মো. আবু কাওছার, মাহমুদা বেগম ক্রিক, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নাশকতার শঙ্কা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে নাশকতা করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন খবর আছে, বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। তারা সারা দেশে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ভুয়া ব্যালট পেপার ও ভুয়া বুথ তৈরি করে ভিডিও বানিয়ে গুজব সৃষ্টি করতে পারে।’

এবার নির্বাচনের আগে সহিংসতা কম হয়েছে : অন্য জাতীয় নির্বাচনগুলোর তুলনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতা কম হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকালীন সহিংসতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের বক্তব্য প্রসঙ্গে এ কথা বলেন দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, একজন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ব্যাপক সহিংসতার কথা বলা হয়েছে। সহিংসতা মূলত যেটুকু হয়েছে তার মূল ভিকটিম আওয়ামী লীগ। ওই রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে অন্য ধরনের প্রশ্ন আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতের আগে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আক্তারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জামায়াত-বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট অনেক বিতর্ক করেছেন, প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

সর্বশেষ খবর