সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর থাকায় নির্বাচনী পরিবেশে লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া। প্রচারণা শুরুর পর চট্টগ্রামে কয়েকটি আসনে সংঘর্ষসহ নানা ঘটনা ঘটলেও সেনা টহলের পর আর কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ফলে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় চট্টগ্রামের ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে মোতায়েন করা হয়েছে ৮ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্য আছেন ১ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে নগর ও জেলার ১৫টি আসনে দায়িত্বপালন করছেন সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৩২৭ সদস্য এবং সন্দ্বীপে দায়িত্ব পালন করবেন নৌবাহিনীর ১০১ জন সদস্য। তাছাড়া মাঠে আছেন ২১০০ বিজিবি এবং আনসার ভিডিপি’র প্রায় ২৫ হাজার সদস্য ও স্থানীয় চৌকিদার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।

গতকাল দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরের প্রধান প্রধান মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ সদস্যরা। তল্লাশি চালাচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যারা। একই সঙ্গে কাজীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে নির্বাচনী সরঞ্জাম রাখায় এর আশপাশের সড়কে রাখা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম-১১ (পটিয়া) আসনের ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী এ এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম বলেন, ‘আমরা চাই সুন্দর, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে নির্বাচনটা সম্পন্ন হোক। ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। সেনা সদস্য মোতায়েনের পর থেকে সে পরিবেশ আসছে বলে মনে করছি। শেষ পর্যন্ত এমন দৃশ্য থাকবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’