ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমন বাংলাদেশের জন্য বোঝাস্বরূপ। আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছি।’ বাসস। বৈঠকের পর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ভারতের হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা বলেন। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করার এই মহান মানবিক ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। বৈঠকে রিভা গাঙ্গুলি দাস ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনাকে। এ সময় তিনি বাংলাদেশকে ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র এবং উন্নয়ন অংশীদার হিসেবেও বর্ণনা করেন। ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনকে কার্যকর করা হয়েছে’ উল্লেখ করে এ বিষয়ে দিল্লি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে’ বলেও জানান হাইকমিশনার। প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি তাকে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে পেয়ে খুবই আনন্দিত।
আজ চার প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন হাসিনা-মোদি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) ১১০০ বাস ও ট্রাক সরবরাহসহ চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সূত্র : বাসস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১০ মিনিটে নিজ নিজ রাজধানী থেকে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন। বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ মিয়া জানান, তারা ভারত থেকে প্রাপ্ত ঋণে কেনা ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক বিআরটিসিকে সরবরাহ করবেন। বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩০০টি ডবল ডেকার, ১০০টি নন-এসি, ১০০টি সিটি এসি ও ১০০টি ইন্টারসিটি এসি বাস। ট্রাকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৫০টি ১৬ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ও ১৫০টি ১০ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাক। এ পর্যন্ত ৪৭টি বিআরটিসি বাস ও ২৫টি ট্রাক বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বাকি বাস ও ট্রাক চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসে পৌঁছবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের অনুদান অর্থায়নের আওতায় জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী বাকি যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো- ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার আওতায় পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এবং সার্ক দেশগুলোতে ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক (এনকেএন) সম্প্রসারণের আওতায় বাংলাদেশে এনকেএন সম্প্রসারণ।