ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে উৎসবমুখর ভোট হয়েছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। এ নির্বাচনের ১২৭ কেন্দ্রেই সকাল থেকে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটের মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পেয়ে খুশি সাধারণ ভোটাররা। আর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বাড়তি আকর্ষণ ছিল ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট প্রদান। এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আমরা আশা করি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। ভোট শেষে বিকাল ৪টার পর সব কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনা শেষে ফলাফল নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসাররা নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। পরে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
আলিমুজ্জামান। এদিকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে শত শত উৎসুক জনতা ও প্রার্থীদের কর্মীরা ভিড় জমান। বারবার আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এই নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৭টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। মসিক এর প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু নির্বাচিত হওয়ায় শুধু সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।
৬০ শতাংশ ভোট পড়ার আশা ইসির : নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আমরা আশা করি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল। তারা খুব আনন্দের সঙ্গে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, এ সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হয় নাই। কোনো কেন্দ্র বন্ধ হয় নাই। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে গতকাল চারটি উপজেলাতেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। ত্রিশাল উপজেলায় একটি কেন্দ্রে আগের রাতে ৫০০ ব্যালট পেপারে সিল মারা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাই ওই কেন্দ্রের সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন জানান সচিব।ময়মনসিংহ সিটিতে ৩৩ ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হলেন- ১ নং ওয়ার্ডে- আসাদুজ্জামান বাবু; ২ নং ওয়ার্ডে দুদু; ৩ নং ওয়ার্ডে শরিফ আহমেদ; ৪ নং ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান দুলাল; ৫ নং ওয়ার্ডে নিয়াজ মোর্শেদ; ৬ নং ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম মিন্টু; ৭ নং ওয়ার্ডে আসিফ হোসেন ডন; ৮ নং ওয়ার্ডে ফারুক হোসেন; ৯ নং ওয়ার্ডে শীতল সরকার; ১০ নং ওয়ার্ডে তাজুল আলম; ১১ নং ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম; ১২ নং ওয়ার্ডে আনিসুর রহমান; ১৩ নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন; ১৪ নং ওয়ার্ডে ফজলুল হক উজ্জ্বল; ১৫ নং ওয়ার্ডে মাহাবুবুল আলম হেলাল; ১৬ নং ওয়ার্ডে আবদুল মান্নান; ১৭ নং ওয়ার্ডে কামাল খান; ১৮ নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান হবি; ১৯ নং ওয়ার্ডে আব্বাস মন্ডল; ২০ নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ; ২১ নং ওয়ার্ডে মোস্তফা ফারুক; ২২ নং ওয়ার্ডে কামাল; ২৩ নং ওয়ার্ডে সাব্বির ইউনুস বাবু; ২৪ নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম সোহেল; ২৫ নং ওয়ার্ডে বিপ্লব; ২৬ নং ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম শফিক; ২৭ নং ওয়ার্ডে লিটন; ২৮ নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর; ২৯ নং ওয়ার্ডে রফিক; ৩০ নং ওয়ার্ডে বাশার; ৩১ নং ওয়ার্ডে জামাল; ৩২ নং ওয়ার্ডে এমদাদুল হক মন্ডল; ৩৩ নং ওয়ার্ডে মোহম্মদ শাজাহান মনির নির্বাচিত হয়েছেন।