চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জলাবদ্ধতা নিরসনে অতিগুরুত্বপূর্ণ খাল খনন প্রকল্পটি আর্থিক সংকট, ভূমি অধিগ্রহণ এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ভর করেছিল। অবশেষে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় একসঙ্গে চার কিস্তির টাকা ছাড় করেছে। এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ফিরে পাবে মনে করছে চসিক। গতকাল প্রকল্পের অনুকূলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৮৭৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ছাড়করণে সম্মতি প্রদান করে মন্ত্রণালয়। চসিক জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘বহদ্দার হাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প’টি গ্রহণ করে। তিন দফা সংশোধনীর পর প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। খালটি খনন হলে নগরের বড় একটি অংশের পানি সরাসরি গিয়ে পড়বে কর্ণফুলী নদীতে।
ফলে নগরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে নগরবাসী মনে করেন। প্রকল্প পরিচালক ও চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের জন্য চার কিস্তির টাকা একসঙ্গে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটি এক ধাপ এগিয়ে গেল। আশা করছি, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা কাজ সম্পন্ন করতে আর কোনো সমস্যা হবে না।’ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়াস্থ চাক্তাই খাল থেকে শুরু করে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক হয়ে নুরনগর হাউজিং সোসাইটি-মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলির হাটের পাশে হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়বে। খালটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার, প্রস্থ ৬৫ ফুট। মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালের উভয় পাশে ২০ ফুট করে দুটি সড়ক নির্মাণ করা হবে।