ইন্দোনেশিয়ার সিস্টার সিটি কনসেপ্টের আওতায় রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। এর ফলে জনগণের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জিত হবে। এমন কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো। গতকাল দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কালে তিনি এ কথা বলেন। রিনা পি সোমারনো আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শিগগিরই পুরোপুরিভাবে সমাধানের জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও চিঠিপত্র আদান-প্রদান করছেন তারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সার্কের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াও সচেষ্ট। এর আগে পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গতকাল দুপুরে নগরভবনে আসেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো ও তার সহযোগীরা। নগর ভবনে আসলে বর্ণিল আয়োজনে তাকে বরণ করে নেয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এরপর মেয়র দফতরকক্ষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত। শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র। এরপর ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নগরভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজশাহী কমপ্লিট সিটি। অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় আলাদা। শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে রাজশাহীর পরিবেশ চমৎকার।
এ সময় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দীর্ঘসময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর শিক্ষা, কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার রাজস্বের ২৫ শতাংশ আসে ট্যুরিজম থেকে। রাজশাহীর ট্যুরিজমের উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।