বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। গতকাল দুপুরে বিএসএমএমইউ মিলনায়তনে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি অযৌক্তিক। এই পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র খোলাসহ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গোপনীয়তা বজায় রেখেই সবকিছু সম্পন্ন করেছেন পরীক্ষকরা।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, আবদুল আজিজ এমপি, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ, বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) স্মৃতি রানী ঘরামী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার্থীদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটি সত্য নয়। অতিরিক্ত বয়সের দুজনের বিষয়ে জেনে প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্যদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সভায় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শুরু করা। এ ছাড়াও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা। উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হয়। ফল ঘোষণার পর থেকে সুযোগবঞ্চিত চিকিৎসকরা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার আন্দোলনের একপর্যায়ে চিকিৎসকরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়।