চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার সংলগ্ন পোড়া কলোনিতে গতকাল পাহাড় ধস হয়। গত তিন দিন আগেই অতিঝুঁকিপূর্ণ এ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ৩৭টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের অভিযান দল অনেকটা জোর করে এসব পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। অন্যথায় গতকাল প্রাণহানির ঘটনা ঘটার শঙ্কা ছিল। জানা যায়, জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত ১৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে গত ৩ জুলাই থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে উচ্ছেদ পরিচালনা করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং প্রায় ২শ পরিবারকে আটটি আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। কাট্টলি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল আলম বলেন, ‘পোড়া কলোনি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৩৭টি পরিবারকে কয়েকদিন আগে সরানো হয়েছিল। কিন্তু গতকালই সেই পাহাড় ধসে পড়ে। তবে আশার কথা, সেখানো কোনো প্রাণহানি হয়নি।’ আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতার বলেন, ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৭ পাহাড়ের পাদদেশে ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত অভিযান চলবে। কারণ এসব পাহাড়ে তারা মৃত্যুকোপে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বাস করছে।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ঝুঁকিপূর্ণ ২৮টি পাহাড়ের ১৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ। এসব পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বাস করছে ৮৩৫টি পরিবার।
অভিযোগ আছে, পাহাড়ের আশপাশের স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাহাড় কিংবা পাহাড়ের পাদদেশ কেটে-সমতল করে কাঁচা-পাকা ঘর নির্মাণ করে আসছে।