দীর্ঘদিন পর নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ। ১৬ বছর আগে গঠিত কমিটি ভেঙে সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে নতুন কমিটি। পাঁচ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলা মহানগর যুবলীগেরও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ দুই নেতা নেতৃত্বে এলেও তাদের ঘিরে উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা। সিলেট যুবলীগে সৃষ্টি হয়েছে প্রাণের সঞ্চার। সর্বশেষ ২০০৩ সালে গঠিত হয়েছিল জেলা যুবলীগের কমিটি। সেই সম্মেলনে হয়েছিল গোলাগুলি-সংঘাত। ২৯ জুলাইর সম্মেলনেও ছিল এমন সংঘাতের আশঙ্কা। তবে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের কড়া নির্দেশনা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সহযোগিতায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে সম্মেলন। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করেছেন তাদের আগামীর নেতৃত্ব। ২৭ জুলাই হয় মহানগর যুবলীগেরও সম্মেলন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় ঘটেনি কোনো সংঘাত। দুই সম্মেলনেই ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া নেতারা এখন সক্রিয় হচ্ছেন যুবলীগের রাজনীতিতে। সম্মেলনে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত আওয়ামী লীগ নেতারা ভোট না করে নিজেদের বলয়ের নেতাদের দিয়ে সাজাতে চেয়েছিলেন জেলা ও মহানগর যুবলীগকে। সে ক্ষেত্রে কখনো নরম, কখনো কঠোর ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত যুবলীগকে চাঙ্গা করতে ম্যাজিক দেখিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে দুটি ইউনিটকে নতুন নেতৃত্ব উপহার দিয়েছেন। মহানগরের সম্মেলনে সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বিজয়ী হন বড় ব্যবধানে। তবে জেলায় এমন ঘটেনি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদ আর সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।
এদিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যখনই কেন্দ্র থেকে কোনো কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে তখনই পদবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই কলঙ্ক লাগেনি। জেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বলেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়ায় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। যুবলীগ নতুন করে জেগে উঠেছে। একে ধরে রেখে আমরা সিলেটে যুবলীগকে আরও সুসংগঠিত করতে চাই।’