চায়ের দেশ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোগলা বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোলার প্যানেলের সৌর বাতি। সকালটাতে যেখানে ঝকঝকে রোদ। সেই রোদ শুষে নিচ্ছিল সোলার প্যানেল। সেই আলোতেই আলোকিত হয় রাতের এই সড়ক। শুধু এই রোড় নয় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ২৩২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর বাতি স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই এসব এলকার দৃশ্য পাল্টে যায়। আগে সন্ধ্যার পর এই সড়কে ভয়ে চলাচল করতে পারত না সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটত ডাকাতির ঘটনা। এখন পথচারীরা নির্ভয়ে পথ চলে। কমে এসেছে ডাকাতির ঘটনা। পাতাকুঁড়ি সোসাইটির রমেন কুমার সাহা বলেন, ইডকলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আমরা দেশব্যাপী কাজ করছি। আগামী প্রজন্মের জন্য সবুজ পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের প্রচেষ্টা নিরন্তর। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ফেরিঘাট পয়েন্ট বাজারের দোকানদার আহাদ বলেন, গত দুই বছর আগে বাজারের সড়কে কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। ডাকাতির ভয়ে অনেক দোকানদার সন্ধ্যা হলেই দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যেত। এখন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। টিআর কাবিটার অধীনে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট ৪৬৪টি সোলার হোম সিস্টেম, ১টি বৃহদাকার এসি সিস্টেম এবং ২৩২টি সৌরচালিত সড়ক বাতি স্থাপন করেছে।