দীর্ঘদিন ধরে কমিটি অনুমোদন না দেওয়া, ওয়ার্ড পর্যায়ে আলোচনা না করেই অনুপ্রবেশকারীদের যোগদান ও বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের বেশি প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষোভে-অভিমানে মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছিল খুলনা আওয়ামী লীগ। তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ৭ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে খালিশপুর থানার ৭, ৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার সব ওয়ার্ডের সম্মেলন ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় এবার মহানগরের পাঁচ থানায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে না।
গত সোমবার রাতে দলের বর্ধিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, যারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি এবং ভূমিদস্যুতার সঙ্গে জড়িত তাদের কোনো অবস্থাতে সদস্য টিকিট দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে দলের কেউ সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় অনেক যোগ্য তরুণ নেতারা পদ-পদবির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ফলে এবারের কমিটি গঠনে নানা মেরুকরণের আভাস রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূলে চলছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতা-কর্মীর মূল্যায়নের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে জোরেশোরেই।