রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটের দিনে ঢাকার নির্বাচন ভবনের লেকে মাছ ধরেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা।
সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয় রংপুরে, চলে ৫টা পর্যন্ত। গতকাল ছুটির দিন হলেও রংপুরের ভোটের জন্য অফিস করেছেন সিইসি, একজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা। ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসেই তারা ভোটের খোঁজখবর নিয়েছেন। এদিকে দুপুরের পরে ইসির লেক চত্বরে মাছ ধরার আয়োজন করতে থাকেন কর্মচারীরা। সোফা-চেয়ার দিয়ে সাজানো হয় চত্বর। আনা হয় ছয়টি বড়শি। ময়দা দিয়ে দ্রুত মাছের টোপ তৈরি করেন কর্মচারীরা। এরপরে তিন-সোয়া তিনটার দিকে ভবন থেকে নেমে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানসহ অনেকে। শুরু হয় মাছধরা। লেকে বড়শি ফেলেই মাছ তুলে আনেন সিইসি। অন্যরা যখন একটি মাছও ধরতে পারেননি, ততক্ষণে সিইসি একাই তিনটি মাছ ধরেছেন। পরে অন্যদের বড়শিতেও একের পরে এক মাছ ধরা পড়ছিল। সিইসির বড়শিতে একটু পরপরই মাছ আটকে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশে করেন উপস্থিত সবাই। জানা গেছে, সিইসি, কমিশনারসহ অন্যরা প্রায় ৪০ কেজির মতো মাছ ধরেছেন। সচিব ছাড়া অন্যরা সেই মাছ বাসায় নিয়েছেন। তবে এ জন্য ইসির সেবা শাখার কাছে মাছের মূল্য পরিশোধ করেছেন তারা।
ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন- আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাঝে একটা লেক তৈরি করা হয়েছে। ভিতরে আছে ফোয়ারাও। আর এতেই দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে। তারা বলেন, রংপুরে নির্বাচন ছিল। তাই গতকাল ছুটির দিনেও অফিস করেছেন সিইসিসহ অন্যরা। নির্বাচনও ভালো হয়েছে। আর ছুটির দিনে বলেই কমিশন মাছ ধরে একটু আনন্দ করেছে। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই লেক থেকেই মাছ তুলে বারবিকিউ পার্টি করেছে কমিশন।