বিরোধ মিটেও মিটল না জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। গত ৮ নভেম্বর কেন্দ্রে ডেকে জেলার শীর্ষ এ দুই নেতার বিরোধ মিটিয়ে ৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেন। আর এই সম্মেলন সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে।
এরপর সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বিকালে। সভায় কেন্দ্রীয় নেতা লিটন উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য ও রাজশাহীর সংসদীয় আসনের এমপিরা। কিন্তু ওই সভায় যাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমি ওই মিটিংয়ে যাচ্ছি না। আমার শহীদ বাবাকে রাজাকার বলা হয়েছে। আমি এর বিচার চেয়েছি। সেই বিচার তো পাইনি।’ অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আজকের সভাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সভাপতির না আসাটা তার ব্যক্তিগত। তবে তিনি না এলেও কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিতিতে সভা ভালো হয়েছে।’ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি দলীয় একটি সভায় আসাদ ওমর ফারুককে ‘রাজাকারের সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন।