আজ (রবিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সকালে এর উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। প্রধান অতিথি থাকবেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের নেতাদের চাওয়া অনুযায়ী এবং বিতর্ক এড়াতে গতকাল বিকাল পর্যন্ত সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি ছিল। তবে আজ কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ করা হবে, নাকি কেন্দ্রীয় নেতারা ভোট ছাড়াই সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে যাবেন তা বলা যাচ্ছে না। ভোট ছাড়া কাউকে নেতৃত্বে আনা হলে তা শুধু দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে দলের স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন। সম্মেলনে সভাপতি পদের প্রার্থী হচ্ছেন- এমনটি শোনা গেলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, প্রার্থী হচ্ছেন না এবার। প্রার্থী তালিকায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নাম শোনা গেলেও তিনিও জানিয়েছেন প্রার্থী হচ্ছেন না। তবে সভাপতি প্রার্থী থাকছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠা-ু, সাবেক এমপি রায়হানুল হক, সাবেক এমপি জিন্নাতুন নেছা তালুকদার, সাবেক এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, জেলার বর্তমান সহ-সভাপতি মকবুল খানসহ আরও কয়েকজনের নামও সভাপতি প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হচ্ছেন রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু। সম্মেলন উপলক্ষে নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে গেছে পুরো রাজশাহী মহানগরী। নগরীর প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৩০টি তোরণও নির্মাণ করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে সম্মেলনস্থলের প্রধান তোরণটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাতীয় চার নেতার অন্যতম রাজশাহীর কৃতী সন্তান শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। অন্য তোরণগুলো উৎসর্গ করা হয়েছে দলের প্রয়াত অন্য নেতাদের। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেবেন। তবে কাউন্সিলর থাকবেন ৩৬০ জনের মতো। এবার জেলা আওয়ামী লীগের ২১ জন উপদেষ্টাও কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কাউন্সিলররা চাইছেন, এবার ভোটের মাধ্যমেই যেন নেতা নির্বাচন হয়। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে চলে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। এর প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমান কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী জড়িয়েছেন নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে। ফলে এবার তিনি এই পদে থাকছেন না এটি নিশ্চিত।