মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রচারণায় সরগরম চট্টগ্রাম-৮

ধানের শীষের সমর্থনে মাঠে খসরু, আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় মোছলেম ও সুফিয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করব। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খলভাবে পরাজিত করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। জনগণের অন্তরে ক্ষোভ আর জ্বালা আছে, তারা অপেক্ষা করছে সুযোগের। এই নির্বাচনকে ভোটযুদ্ধ হিসেবে নিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়যুক্ত করতে হবে।’ গতকাল বিকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষের সমর্থনে নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রার্থী আবু সুফিয়ান। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম,  দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আব্বাস প্রমুখ।

মোছলেম ও সুফিয়ানের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু : জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আর ২০ দিন পরে ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে জাপার প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সরে দাঁড়ানোয় এখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। মঈন উদ্দীন খান বাদলের (জাসদ) মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। গতকাল প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। দুই প্রার্থী এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।

নিজ নিজ নেতা-কর্মীরা প্রতিটি গ্রামে গ্রামেই উঠান বৈঠক করে এবং অন্যান্য পন্থায় ব্যক্তি ও দলের কর্মকা  তুলে ধরছেন। বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের জোয়ার ঠেকানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার কথাও জানান তিনি।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা সমস্যা রয়েছে। বিএনপিতে নেই বড় ধরনের কোন্দল।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে মোছলেম উদ্দিন প্রবীণ নেতা হলেও নানাভাবে বিতর্ক রয়েছে রাজনৈতিক ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে। অন্যদিকে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা হিসেবে নেতা-কর্মীদের মাঝে পরিচিতি রয়েছে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের। আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালীর ৯টি পৌরসভা-ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে এ আসন গঠিত। ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। বোয়ালখালীর তুলনায় চট্টগ্রাম শহরাঞ্চলে ভোটার বেশি। একইভাবে ভোটকেন্দ্রও বেশি চসিকের পাঁচ ওয়ার্ডে। বোয়ালখালীর এক পৌরসভা ও আট ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬৪ হাজার ১৩১ জন। অন্যদিকে পাঁচ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১১ হাজার ৮৬৫ জন। মোট ১৭০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে চসিকের পাঁচ ওয়ার্ডেই ১০১টি। ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের ফল নির্ণায়ক হবেন পাঁচ ওয়ার্ডের ভোটাররাই। বোয়ালখালী উপজেলার কদুরখীল, পশ্চিম গোমদন্ডী, পূর্ব গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী,  পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড সমন্বয়ে এই সংসদীয় এলাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর