মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চলতি বছর বায়ুদূষণ বেড়েছে ২০ শতাংশ

পবার গবেষণা তথ্য প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বাংলাদেশে বায়ুদূষণের পরিমাণ গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (কেপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রবীণ ও শিশুদের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব রোধে করণীয় শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা জানান। সংলাপের আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার। অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, কেপসের এক গবেষণায় দেখা যায়, গত ১৩ মাসে (নভেম্বর ২০১৮ থেকে নভেম্বর ২০১৯) ঢাকার মানুষ মাত্র দুই শতাংশ (নয় দিন) সময় ভালো বায়ু গ্রহণ করেছে, ৪৮ শতাংশ (১৮৮ দিন) মধ্যম থেকে সতর্কতামূলক দূষিত বায়ু গ্রহণ করেছে, ২৮ শতাংশ (১০৭ দিন) অস্বাস্থ্যকর বায়ু, ২১ শতাংশ (৮২ দিন) খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু এবং এক শতাংশ (৫ দিন) মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর বায়ু গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের পরিমাণ ২০১৮ সাল থেকে গড়ে  প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বলেন, এসব দূষণের কারণে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, কিডনির রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, জন্মগত ত্রুটি, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব, হার্ট অ্যাটাক, যকৃত সমস্যা, গর্ভবতী মায়েদের ওপর প্রভাব, চর্মরোগ ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 কেপসের পরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়। বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে ৪৬ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু ঢাকায় ১০ হাজার মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়। তিনি বলেন, এ বায়ুদূষণ রোধে আমাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। সবার আগে দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করে দূষণ কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুফল প্রয়োগ ও সর্বোপরি জনগণকে বায়ুদূষণ সামগ্রিক বিষয়ে তথ্য দেওয়া, শিক্ষিতকরণে উদ্বুদ্ধকরণ করে বায়ুদূষণ রোধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর