বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
গাজীপুরের সুখ-দুঃখ – ১০

স্বপ্ননগরীর হাতছানি

মোস্তফা কাজল, গাজীপুর থেকে ফিরে

স্বপ্ননগরীর হাতছানি

সিঙ্গাপুরের আদলে তৈরি হচ্ছে গাজীপুর। নগরীর অপ্রশস্ত সড়ক, অবৈধ স্থাপনা ও যানজট নিরসনে নেওয়া হচ্ছে তিন প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে নগরীর রেলক্রসিং এলাকায় ওয়াই আকৃতির এক কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার নির্মাণ। নগরীর প্রতিটি সড়কের প্রশস্ত ১০ ফুট থেকে ৩০ ফুটে উন্নীতকরণ। সড়কের প্রতি এক কিলোমিটার দূরত্বে নির্মাণ করা হবে পার্কিং ও পানশালা। এ ছাড়া নগরীর প্রতিটি সড়কের দুই পাশে লাগানো হবে এলইডি লাইট। সেই সঙ্গে চিলাই নদীর পাড়ে হবে নান্দনিক ইকোপার্ক। আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে গাজীপুরের চিত্র। এ ছাড়া গোটা নগরী সিসিটিভির আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাজীপুর সিটির প্রধান সংযোগ              সড়কগুলো প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্প গত ২৫ জুন একনেকে পাস হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেবে সরকার। আর করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১৯১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তাগুলো ২০ ফুট থেকে ৬০ ফুটে প্রশস্ত করা হবে। এ ছাড়া নগরীর শিববাড়ী থেকে রথখোলা পর্যন্ত চারলেন ফ্লাইওভার ও সংশ্লিষ্ট সড়ক জাইকা ও সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। শিববাড়ী-তিতারকুল ও হাড়িনাল-হানঘাটা সড়কটি ৬০ থেকে ১০০ ফুটে প্রশস্ত করা হবে। নগরীর রাজদিঘীরপাড়, জোরপুকুরের আশপাশের সৌন্দর্যবর্ধন ও দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

চিলাই খাল সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে। এখানে বসার জন্য আসন, আধুনিক ফুটপাথ ও গাইডওয়াল নির্মাণ করা হবে।

এ ছাড়া জনগণ সব ধরনের সেবা যাতে সহজে পায় সে জন্য সিটি করপোরেশনের ৮টি আঞ্চলিক অফিসের ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের মধ্যে সত্যিই স্বপ্নের নগরীতে রূপ নেবে গাজীপুর। যানজটমুক্ত নগরী আর উন্নত নগর জীবনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান চূড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

 

এ ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) সড়ক প্রশস্তকরণ, সার্ভিস সড়ক ও গাজীপুর জেলায় আট লেনের টঙ্গী সেতু এবং  ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর