মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আজ দুপুর ২টা থেকে খুলনার বিআইডিসি রোডে আবারও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করছেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। গতকাল ৯টি পাটকলের গেট সভায় পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে একই দাবিতে টানা চার দিন অনশন কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা। এদিকে চলমান সংকট সমাধানে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের পর গত ১৫ ডিসেম্বর বিজেএমসিতে ও ২৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। ফলে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলনের ডাক দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
জানা যায়, বর্তমানে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিকের ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মজুরি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনা ৪০-৪৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া কয়েক দফা মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ন্যায্য মজুরি-বেতন না পেয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানবেতন জীবনযাপন করছেন।
সংগঠনের যুগ্মসম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, পাট খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। খুলনায় ১০ ডিসেম্বর থেকে অনশনে প্লাটিনাম জুটমিলের একজন শ্রমিক মারা যান। পরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আরেকজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার পরও দাবি পূরণে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা আবারও রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। গতকাল কর্মসূচি ঘোষণাকালে গেটপথ সভায় বক্তৃতা করেন পাটকল শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন, শাহানা সারমিন, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।