নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নাব্য করা হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ অর্থায়নে ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথ খনন : সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কালনি ও কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কিলোমিটার এবং যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া নৌপথের ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। আন্তর্জাতিক রুটের ৬টি বড় জাহাজ কিনবে সরকার : বেনজীর আহমদের (ঢাকা-২০) প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি ক্রু অয়েল মাদার ট্যাংকার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার (ডিজেল পরিবহন উপযোগী) এবং দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার (কয়লা পরিবহন উপযোগী)। এ ছাড়া সমুদ্রগামী চারটি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে চলাচলকারী সরকারি জাহাজ রয়েছে ৯৩টি।
এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য বিআইডবিøউটিসির ৮৫টি জলযান এবং আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য বিএসসির ৮টি সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াতের জন্য বিআইডবিøউটিসির জলযানগুলোর মধ্যে ফেরি ৫০টি, যাত্রীবাহী জাহাজ ২৩টি এবং কার্গো জাহাজ ১২টি (কন্টেইনারবাহী জাহাজ চারটি, কোস্টার একটি, বে-ক্রসিং বার্জ সাতটি)। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে ৮টি জাহাজের মধ্যে তিনটি নতুন প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, তিনটি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার এবং দুটি লাইটারেজ ট্যাংকার রয়েছে।