আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিক সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আজ যে আন্দোলন চলছে তা অন্য কারও বিরুদ্ধে নয়, তা আত্মশুদ্ধির আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলমান, তাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, আগামীতে এই সুনামগঞ্জে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা আসীন হতে পারবেন না। তবে তারা দল করতে পারবেন, সদস্য থাকতে পারবেন। কিন্তু তাদের আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের দল ও শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। যারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখলের সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারে তথ্য দেবেন, ব্যবস্থা নেব। গতকাল বিকালে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, পৌর মেয়র নাদের বখত, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ। শফিক বলেন, সিলেট বিভাগে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অতীতে কী হয়েছিল, সেদিকে না তাকিয়ে বর্তমান ও আগামীর কথা বিবেচনা করে সংশোধন ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে।
আমি এখানে যা দেখেছি, সে চিত্র নেত্রীর কাছে তুলে ধরব। তিনি বলেন, আপনারা জায়গা করে না দিলে বিএনপি-জামায়াত কী করে দলে ঢোকার সুযোগ পায়! জঙ্গি, মৌলবাদ, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের বহু নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন। তারা আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করবে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাদের যারা সুযোগ দিয়েছেন তাদের কেন প্রতিহত করতে পারেন না। এর আগে প্রতিনিধি সভায় সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়করা।