শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সাভারের ওসিসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

‘মানবাধিকার খবর’ নামক মাসিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মানবাধিকার কর্মী মো. রিয়াজ উদ্দিনের অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেও মামলা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফ এম শাহেদ হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল আদালতে রিয়াজ উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে এই মামলা করলে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকার

বিচারিক হাকিম কামরুন্নাহার। মামলার অপর আসামিরা হলেনÑ সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভার থানাধীন ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক, অপহরণকারী বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রনিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর সঙ্গে গত বছর ডিসেম্বর আসামি বৃষ্টির ফেসবুকে পরিচয়। সেখানে তিনি বাদীকে একটি ছেলেসহ বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলেন। বাদী মানবাধিকার কর্মী হওয়ায় তার কাছে সহায়তা চান এবং সরেজমিনে অসহায়ত্ব দেখে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামি বৃষ্টির কথায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাভার বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেমায়েতপুরের বালুর মাঠের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে দুপুর ১টার দিকে যান। সেখানে ৩-৪টি ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বাড়িতে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে বেঁধে মারধর শুরু করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল, ক্যামেরা, এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এরপর নির্যাতন করে এটিএম কার্ড ও বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে ছয় হাজার টাকা তুলে নেয়। এরপর বাদীর মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো মুক্তিপণ না পেয়ে বেলা ৪টার দিকে সাভার নিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর বাদী সাভার থানায় যান এবং পুলিশ আসামিদের কাছে অভিযোগ করেন। আসামি এনামুল হক ওইদিন সন্ধ্যার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে অপর আসামিদের গ্রেফতার করেন এবং সব কিছু উদ্ধার করে আসামি বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রনি ও অজ্ঞাত এক নারীকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আসার পর মামলার প্রস্তুতির একপর্যায়ে পুলিশ আসামিরা বাদীকে আসামি বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রনি ও অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। না করলে উল্টো ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদীকে আদালতে চালানের ভয় দেখায় এবং বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বাদীকে আদালত ছাড়তে বাধ্য করেন। পরে বাদী জানতে পারেন যে, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর