সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যবসাশূন্য চট্টগ্রাম শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

কর্মহীন শ্রমিকরা চলে গেছেন গ্রামে, দীর্ঘ প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতেও

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

ব্যবসাশূন্য চট্টগ্রাম শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বিপণিকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এখন ব্যবসাশূন্য হয়ে পড়েছে। করোনার প্রভাবে বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামের এই ব্যস্ততম এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে লকডাউনের পর এখান আড়ত-মোকাম আর দোকানপাট সব বন্ধ রয়েছে। কুলি-মজুর, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেকেই চলে গেছেন বাড়িতে। দিনে হাজার কোটি টাকার  লেনদেনের এই বাণিজ্যপাড়ায় এখন বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এই স্থবিরতার একটা দীর্ঘ প্রভাব  দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও লকডাউনের পর থেকে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট, আড়ত ও অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। এখানে রয়েছে দেশের অধিকাংশ আমদানি-রফতানিকারকদের অফিস। ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও দেশের বিভিন্ন অব্জল থেকে আসা বণিকদের পদচারণায় সারাক্ষণ মুখরিত থাকে এই জনপদ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তা এখন ভুতূড়ে জনপদে পরিণত হয়েছে। দিনের কয়েক ঘণ্টা কাঁচাপণ্যের কিছু আড়ত ও ভোগ্যপণ্যের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বেচাকেনা তেমন   নেই। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ জানান, একসময় পুরো দেশের ট্রেডিং ব্যবসা পরিচালিত হতো এই চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকেই। কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে ট্রেডিং এবং আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের প্রভাব কিছুটা কমে আসলেও করোনার প্রভাবে তা আরও খারাপ অবস্থার দিকে যাবে।  চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দিনে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে  দোকানপাট ও বিভিন্ন আড়ত বন্ধ রয়েছে। দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, আসন্ন রমজান নিয়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের প্রায় প্রত্যেকের প্রস্তুতি রয়েছে। রমজান মাসের চাহিদার বিপরীতে ভোগ্যপণ্যও মজুদ রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না। ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিমিত হলেও পিয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব দেশের সঙ্গে এখনো সীমিত আকারে ট্রেডিং চলছে, রমজানের জন্য আরও ভোগ্যপণ্য আমদানির এলসি ওপেন হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর