বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা নিয়ে আতঙ্ক খুলনায়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনা নিয়ে আতঙ্ক খুলনায়

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, যশোরে পাওয়া গেছে ৫ করোনা রোগী। এদের অধিকাংশই অন্য জেলা থেকে সংক্রমণের পর এখানে এসেছেন। এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে পালাচ্ছে রোগী। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা শনাক্ত হলে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হতে পারেন এ ধারণা থেকে কাউকে কিছু না বলেই তারা হাসপাতাল ছাড়ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা বেড়েছে। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজে এ পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ২৭৫টি। এর মধ্যে চারটি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি মাদারীপুরে এক মসজিদে ইমামতি করতেন। ৫-৬ দিন আগে তিনি চিতলমারীতে এসেছেন।

একইভাবে সোমবার বিকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা করিমনগরে এক বৃদ্ধ করোনা শনাক্ত হন। তিনি ঢাকা, নরসিংদীতে ১২০ দিন তাবলিগে থাকার পর ৪ এপ্রিল বাড়িতে ফেরেন। এ ছাড়া নড়াইল, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তিনজন করোনা শনাক্ত হয়েছে।  এদিকে করোনা আতঙ্কের মধ্যে সাত দিনে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তির পর ছয়জন রোগী কাউকে কিছু না বলেই চলে গেছেন।

এর মধ্যে নড়াইলের বাসিন্দা রোখসানা (২৫) ৯ এপ্রিল ভর্তি হয়ে পর দিন চলে যান। একই দিন দুই মাস বয়সী শিশু আশিককে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। এ ছাড়া দৌলতপুর এলাকার শিরিন আক্তার (৫৮), দিঘলিয়ার মর্জিনা (৪০), সোনাডাঙ্গার জাকির হোসেন (৪০) ও বাগেরহাটের জাহানারা কাউকে কিছু না বলেই হাসপাতাল ছেড়েছেন। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, যাদের সর্দি-জ্বর কাশিসহ করোনা উপসর্গ থাকে, তাদের এ ইউনিটে রেখে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু যারা হাসপাতাল ছেড়েছেন, তাদের একজনও করোনা পজেটিভ হলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে। কয়েকদিন ধরেই করোনা ইউনিটে পুলিশ প্রহরার প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও ব্যবস্থা করা হয়নি। সংক্রমণ প্রতিরোধে এ বিষয়ে মনিটরিং জরুরি। যারা নিজেদের ইচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়েছেন তাদের নাম-ঠিকানা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর