বিভিন্ন স্থানে লকডাউন, সতর্কতা জারি, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া নিষেধ এবং সরকারি ছুটির মধ্যেও স্বাভাবিক রাখা হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মালবাহী ট্রেনের চলাচল। তবে এতে করে ঝুঁকিতে পড়েছেন কর্মীরা। এ ছাড়াও আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছে নিম্নশ্রেণির পদে কর্মরত এসব কর্মচারীরা। রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমলেও মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দেশের প্রায় সবগুলো স্টেশনই খোলা রাখতে হচ্ছে। এ কারণে পরিবহন বিভাগের কর্মীদের কর্মস্থলে শতভাগ উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। কিন্তু স্টেশন বা কর্মস্থল এলাকা থেকে দূরে থাকার কারণে প্রতিদিনই পায়ে হেঁটে কাজে যেতে হচ্ছে। চালক, গার্ডসহ বিভিন্ন শ্রেণির কর্মীদের জন্য স্টেশন এলাকায় কোয়ার্টার থাকলেও বাবুর্চি না থাকা, খাবার হোটেল বন্ধ থাকার কারণে ট্রেন অপারেশনের কাজে ক্ষোভ বাড়ছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবহন বিভাগের কর্মীদের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের স্বার্থে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী স্টেশন এলাকায় দায়িত্বরত কর্মীরা ওই এলাকায় আবাসিক হিসেবে থাকবে। এতে কেউ থাকতে না চায়, তাহলে স্টেশনেই থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে দেশের এমন পরিস্থিতিতে মাঠের কর্মীদের এই ত্যাগ অবশ্যই স্বীকার করতেই হবে। রেলওয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রেলকর্মীরা দেশের খাদ্য, জ্বালানি ও আমদানি-রপ্তানি পণ্যের সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের জন্য কোনো যানবাহন সুবিধা নেই। রেলের উচিত আপদকালীন সময়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কর্মীদের ন্যূনতম মানবিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা।