বর্তমানে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তা অনাকাক্সিক্ষত। বর্তমানে দেশে পিক আওয়ারে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও গড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগছে। এর পরও লোডশেডিং হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দ্রুততার সঙ্গে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়াতে এবং পালা করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর অধীন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, আগমীতে ঝড়-বৃষ্টি হবে। সচেতন থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিদ্যমান প্রকল্পসমূহ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স নামক কোম্পানি করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যৌথ বিনিয়োগে এরূপ কোম্পানি গঠন করা হলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেত এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে পরমুখাপেক্ষী হতে হতো না।’ তিনি এ সময় গ্রিড সাবস্টেশনগুলো নিয়মিত মেরামতের নির্দেশ দেন। সভায় মহামারীর সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান, বিভিন্ন সময় করা চুক্তিসমূহ এবং এর আওতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভার্চুয়াল এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ, পিডিবি চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।