বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা ছড়াচ্ছে তৃণমূলে বাড়ছে আতঙ্ক

খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বহিরাগতদের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের তৃণমূলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ১০ দিনের ব্যবধানে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জানা যায়, মঙ্গলবার খুলনার রূপসা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মোবাইল ফোনের এক কর্মী মারা যান। খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদ বলেন, ওই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুর পর তার বাড়ির চারপাশে আরও ২০টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত খুলনায় তিনজন চিকিৎসকসহ ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।  বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেলার বাইরে যশোরে ৫, চুয়াডাঙ্গায় ১, নড়াইলে ৬, বাগেরহাটে ১, মেহেরপুরে ১, কুষ্টিয়ায় ২ ও মাগুরায় ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।  খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, আক্রান্তদের অধিকাংশই বাইরে থেকে এসেছে। খুলনায় যিনি মারা গেছেন তিনি মাদারীপুর থেকে এসেছিলেন। তিনি বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় খুলনা ও যশোরে দুটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় আরও একটি পিসিআর মেশিন চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসার জন্য খুলনা ও সাতক্ষীরায় ১৮টি ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেড ও জেলা-উপজেলায় ১১৩৪টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজে পিসিআর মেশিনে গত দুই দিনে ৩৯২ জন করোনা উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুরুর দিকে গড়ে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৫০-৬০ জন।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, সংকট মোকাবিলায় উপজেলা ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর