বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

রংপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী, আতঙ্ক

মোবাইল ফোনে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগ হিমশিম খেলেও তারা বলছে এখানে জনবল, ওষুধ ও রোগী সেবার সামগ্রীর কোনো সংকট নেই। নমুনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, পিপি এবং ওষুধ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। এখানে বর্তমানে চারজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড এবং চিকিৎসকদের জন্য দুটি ও নার্সদের জন্য একটি আবাসিক কোয়ার্টার নির্ধারণ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে এখানে ৬৪ জন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। ১০টি ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে নতুন এ আইসোলেশন হাসপাতালে। প্রথম ধাপে ১০টি আইসিইউ বেড ও ১০টি ভেন্টিলেটর দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে তা ৫০-এ উন্নীত করা হবে। হাসপাতালে পৃথক পৃথক কয়েকটি জোন খোলা হয়েছে। রংপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নবনির্মিত তিন তলাবিশিষ্ট ১০০ শয্যার  শিশু  হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে চালু হয়েছে। এ হাসপাতালে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা রয়েছেন বেকায়দায়।  নির্ধারিত কোয়াটারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে তাদের।  পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। অপরদিকে রংপুরের প্রাইভেট চিকিৎসকদের চেম্বারের চেয়ে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছে।  বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি চলাকালে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ফেসবুক পেজে চিকিৎসকদের মোবাইল নম্বর ও কখন ফোন করবেন সে সময় উল্লেখ করে বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।

রংপুর জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সমিতির সভাপতি সামসুর রহমান কোয়েল জানান, আমরা এখনো নিরাপদ নই। আমরা ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার বা ৫০০ টাকা খরচ করে পিপিই বানিয়ে নিয়েছি। সরকারিভাবে পিপিই চাইনি বা আমরা পাইনি। অনেক রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে। কে করোনা রোগী বা কে নয় তা বোঝা যায় না। এ কারণে আমরা টেলিমেডিসিন প্রক্রিয়াকেই স্বাচ্ছন্দ্য মনে করি।

রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার জানান, এখনো রংপুরে করোনা চিকিৎসাসেবা চলমান রয়েছে। যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর