গত ১৫ তারিখের পর থেকে ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের দিচ্ছেন নমুনা। ফলে ‘নমুনাজট’ যেমন লেগেছে তেমনি হিমশিম খাচ্ছে ল্যাবের চিকিৎসক থেকে কর্মচারী পর্যন্ত। গতকাল পরীক্ষা শেষে আরও ৬০০ নমুনা থাকবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ। তিনি আরও জানান, ‘প্রতিদিন ল্যাবটিতে ২০০ থেকে ৩০০ নমুনা আসে। কিন্তু দুই ধাপে আমাদের সাধ্য ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করার।
নমুনাজট কাটাতে ইতিমধ্যে আরও ৮০০ নমুনা ঢাকাতেও পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে আরও সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে একটি আরটি-পিসিআর মেশিন দিলেও এখনো সেটি চালু করতে পারেনি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই মেশিনটি চালু হলে প্রতিদিন দুই ধাপে আরও ১৯২টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে বলে জানায় বাকৃবি।এ বিষয়ে পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক সালমা আহমাদ বলেন, ‘নতুন মেশিনের জন্য ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে দুই একদিনের মধ্যে স্ট্রিপ আসলে এই মেশিনটি চালু করা যাবে। তখন দুটি মেশিনে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। নমুনা সংরক্ষণে সংগৃহীত নমুনাগুলোকে ফ্রিজে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩ দিন সংরক্ষণ করা যায়। এর মাঝে পরীক্ষা করা না গেলে নমুনাগুলো তার কার্যকারিতা হারাবে।’
তবে অনেকটা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ও সচেতন মহল বলছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল আটকে থাকায় শুরু করা যাচ্ছে না আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবাসহ পরবর্তী কার্যক্রম। এতে করে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও প্রবল। তাই দ্রুত এই জট কমানোর দাবি তাদের।