বরিশালে লকডাউন অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কিছু দোকান ব্যতীত নগরীর অনেক এলাকায় কৌশলে খোলা রাখা হচ্ছে দোকানপাট-ব্যবসা বাণিজ্য। দিন দিন রাস্তায় বাড়ছে মানুষ এবং যানবাহনের সংখ্যা। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সরকার নির্ধারিত খোলার সময়ের আগেই খুলছে দোকান। আগে জেলা প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও এখন অনেকটাই শিথিল তাদের কার্যক্রম। লকডাউন বাস্তবায়নে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িও কমে গেছে। অবাধ চলাচল রোধে তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায় না। গতকাল নগরীর চৌমাথা এলাকার সোনালী ব্যাংকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলন করতে সহস্রাধিক মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোড, চকবাজার, কাঠপট্টি, বাজার রোড, পদ্মাবতীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদ বাজারের মতো আমেজ এবং ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর প্রধান প্রধান রাস্তাঘাটের চিত্র দেখলে লকডাউনের সংজ্ঞা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়বেন যে কেউ। তবে গতকাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শারীরিক দূরত্ব অনুসরণসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিং করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমূল হুদা বলেন, করোনা সংক্রামণ এড়াতে তারা জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন। সচেতন থাকতে বলছেন।