শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনাভাইরাস

চট্টগ্রামে পাঁচ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চলছে চিকিৎসা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পাঁচ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চলছে চিকিৎসা

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের বিশেষ পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এর মধ্যে আছে আক্রান্ত রোগীর পূর্ববর্তী ইতিহাস (প্রিভিয়াস হিস্ট্রি), শরীরে অন্য কোনো রোগের লক্ষণ আছে কিনা, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতা আছে কিনা এবং আক্রান্ত হওয়ার আগে-পরে কি কি উপসর্গ দেখা গেছে। ইতিমধ্যে এসব বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সফলতাও পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা চলছে জেনারেল হাসপাতালের ১০০ শয্যা এবং বিআইটিআইডির ৩০ শয্যায়। এ দুই সেবা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। তবে করোনা চিকিৎসায় এখনো শতভাগ সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি বের না হলেও হাসপাতাল দুটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন অনুসারে সমন্বিত একটি পদ্ধতি ফলো করছে।  বিআইটিআইডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছি। প্রিভিয়াস হিস্ট্রি, শরীরে অন্য কোনো রোগের লক্ষণ আছে কিনা, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতা আছে কিনা এবং আক্রান্ত হওয়ার আগে-পরে কী উপসর্গ ছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ ব্যবহার করে ৯৫ ভাগ রোগী সুস্থ করা যাচ্ছে।’ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ফোকাল পারসন ডা. মো. আবদুর রব বলেন, ‘করোনা রোগের এখনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। তবে শরীরের নানা উপসর্গ ও রোগ বিবেচনায় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তের আগের ইতিহাস, জটিল কোনো রোগ আছে কিনা- চিকিৎসায় এসব বিবেচনা করা হচ্ছে। জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল, কাশি-শ্বাসকষ্ট থাকলে ইনহেলার-অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বেশি এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নিচে নেমে গেলে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বেশি জটিলতা দেখা গেলে আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছে।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ১৯ মার্চ থেকে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহজনক ১৩৬ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে মাত্র পাঁচজন রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট দিতে হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯৭ জন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে এক শিশুসহ মোট ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া আইসোলেশনে মারা যান ছয়জন। তবে মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের নমুনায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৫৯ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর