লকডাউনের সামাজিক দূরত্ব মেনে কেনাকাটা করার আহ্বান করা হলেও সে চিত্র দেখা যায়নি রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। কাঁচাবাজারগুলো এখন ফিরেছে পুরো আগের চেহারায়। এসব কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। মানুষের স্বাভাবিক ভিড় হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ পণ্যের দর কমেছে। চালের দর আগের চেয়ে কেজি প্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। রোজায় কয়েক দফা কমেছে পিয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পিয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। আর মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। তবে শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা এবং মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভালোমানের দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০- ৪৫ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অপরদিকে আমদানি করা পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। শসা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। বয়লার মুরগির কেজি ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা। মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।