রবিবার, ১৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারে অন্য সদস্যদের হত্যার সময় স্বামীর চাকরি সূত্রে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। স্বামী-সন্তানের পাশাপাশি ছোট বোন শেখ রেহানাও সে সময় জার্মানিতে তার সঙ্গে অবস্থান করায় বেঁচে যান তারা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন। এদিন তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকায় নামলে বিকালে লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান। ১৯৮১ সালে যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফেরেন সেই দিনটি ছিল রবিবার। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত ছিল জনতার ঢল। সেদিনের গগনবিদারী মেঘ গর্জন, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল। আর অবিরাম মুষলধারায় ভারি বর্ষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতৃহত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতার অমর স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিল ঢাকার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্র নিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃহত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল রাজধানী ঢাকা। জনতার হৃদয়ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই’। দিনটি উপলক্ষে প্রতিবছর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কিন্তু এ বছর বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করে আসছে আওয়ামী লীগ। ফলে ঘরে বসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনায় পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর