শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসকদের জন্য ৬০ কোটি টাকা চেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ

মানিক মুনতাসির

কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের এক মাস ১৯ দিনের বেতন বাবদ ৫৮.৩৪ কোটি টাকা বাজেটের অপ্রত্যাশিত ব্যয় তহবিল থেকে দেওয়ার আবেদন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল ডিজিএইচএসের উপসচিব সুশিল কুমার পাল স্বাক্ষরিত দুটি চিঠিতেও ২০২০-২১ অর্থবছরের বেতন-ভাতা বাবদ ৩২৯ কোটি টাকা অর্থ বিভাগের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা অবশ্য বলেছিলেন যে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্বতন্ত্র রোগীদের প্রকৃত চাহিদা মেটাতে আরও চিকিৎসক ও নার্স নিয়াগ করা হবে। ডিজিএইচএস এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়র দেওয়া নতুন করে অস্থায়ীভাবে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার ৫৪ জন নার্সের পদগুলোতে ১২ মে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়ছে। এই তারিখে কোনো চিকিৎসক না থাকলে ‘তিনি যোগ দিতে রাজি নন’ বলে বিবেচিত হবেন এবং তার অস্থায়ী অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে। সদ্য নিয়াগপ্রাপ্তদের কভিড-১৯ রোগীদের সেবা করতে হবে এবং যদি তাদের সেবা সন্তোষজনক না হয় তবে তাদের স্থায়ীভাবে নিয়াগের সময় বিবেচনা করা হবে। চিকিৎসকরা জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর অধীনে ২২,০০০-৩৩,৬০০ টাকা বেতন পাবেন। বিদায়ী ২০১৮-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেতন ও ভাতার জন্য ৬০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

 এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফাইজুল হাকিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার হাসপাতালে রোগীদের ক্ষোভ কোনোভাবেই প্রশমিত করতে পারবে না, কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে ঠিক কতসংখ্যক চিকিৎসক দরকার এর সঠিক পরিকল্পনা নিতে ব্যর্থ। তিনি বলেন, করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহামারীর এ সংকটে চিকিৎসকদের কোনো পরামর্শ কানে নেয়নি।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) চেয়ারম্যান শাহেদ রফি পাভেল বলেন, সরকার এখনো শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পারেনি। ফলস্বরূপ বাংলাদেশে করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকরাও কভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর