সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনার প্রভাব

আড়াইশ কোটি টাকার কাজ স্থবির

সিলেটে বন্ধ কদমতলী বাস টার্মিনাল, পারাইরচকে ডাম্পিং ইয়ার্ডসহ অনেক প্রকল্প

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

আড়াইশ কোটি টাকার কাজ স্থবির

করোনা পরিস্থিতিতে থমকে গেছে সিলেট নগরীর রাস্তার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেট নগরীর রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডাম্পিং স্টেশন ও বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলছিল জোরেশোরে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এখন বন্ধ রয়েছে এসব উন্নয়ন কাজ। প্রায় ২৫০ কোটি টাকার চলমান কাজে এখন বিরাজ করছে স্থবিরতা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন করা এ প্রকল্পগুলোর মেয়াদ শেষ হবে চলতি জুন মাসে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে সিটি করপোরেশন। যথা সময়ে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বরাদ্দ ফেরত যাওয়ার। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজ থেমে থাকায় বাড়ছে জনদুর্ভোগও। তবে প্রকল্পের বরাদ্দ যাতে ফিরে না যায় সে জন্য কয়েক দিনের মধ্যে সীমিত পরিসরে ফের কাজ শুরুর চিন্তাভাবনা করছে নগরভবন কর্তৃপক্ষ। সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানায়, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার আগে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কদমতলী বাস টার্মিনাল ও একই পরিমাণ বাজেটে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে ডাম্পিং ইয়ার্ড আধুনিকায়নের কাজ চলছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে লকডাউনের শুরুতেই ১২০ কোটি টাকার এ দুটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ দুটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোনোভাবেই প্রকল্প দুটির কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একইভাবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শুরু হওয়া নগরীর মদিনা মার্কেট সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক, শিবগঞ্জ আকবরি মসজিদ সড়কসহ কয়েকটি সড়ক সম্প্রসারণের কাজও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া এডিবি ও সরকারের নিজস্ব তহবিলের বেশ কয়েকটি প্রকল্পও আটকে আছে করোনা পরিস্থিতিতে। নগরভবন সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে সিলেট নগরীতে অন্তত আড়াইশ কোটি টাকার কাজ থমকে আছে। দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাওয়ায় কাজগুলো পুনরায় চালু করা নিয়েও নগরভবন কর্তৃপক্ষ রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তবে প্রকল্পের টাকা যাতে ফিরে না যায় সে জন্য চলতি মাসেই সীমিত পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর কাজ পুনরায় শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।  প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানও জানান, জুনের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নকৃত সব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা এখনো বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নগরীর সব চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদের বিষয় বিবেচনা করে জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু করতেই হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর