বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে দোকানপাট

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে দোকানপাট

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের উদাসীন জীবন-যাপনে খুলনায় ঊর্ধ্বমুখী হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শপিং মল-দোকানপাটে ভিড় ও বহিরাগতদের অবাধ চলাচলে সংক্রমণ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে টানা দুই সপ্তাহ দোকানপাট বন্ধসহ সাত দফা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে গতকাল গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরই অ্যাকশনে নেমেছে পুলিশ। নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় চেক পয়েন্ট বসিয়ে শহরের মধ্যে ইজিবাইক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহরের ভিতর থেকে দূরপাল্লার বাস সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ছোট পরিবহন মাহেন্দ্র-ইজিবাইকে দুজনের বেশি যাত্রী পরিবহনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।   খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচাবাজার, মৌসুমি ফলের দোকান ও ফার্মেসি ব্যতীত দোকানপাট শপিং মল, ফুটপাথের দোকান বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। তবে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বাইরে অবস্থান করা যাবে না। তিনি বলেন, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সড়কে মাস্ক ব্যবহার না করলে জেল-জরিমানার কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ১১-২৫ জুন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বাড়ানো হবে। এদিকে নির্দেশনা অনুযায়ী, চালক ব্যতীত মোটরসাইকেলে অন্য কোনো আরোহী উঠতে পারবে না। তবে পরিবারের সদস্যের ক্ষেত্রে তা শিথিলযোগ্য। বাসস্ট্যান্ড ছাড়া অন্য কোথাও থেকে দূরপাল্লার বাস আসা-যাওয়া করতে পারবে না। জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে জেলা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  এদিকে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গতকাল সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সড়কে চলাচলে বা বাজারে কেনাকাটায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিপণিবিতান বন্ধ না করা ও যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় এসব জরিমানা করা হয়।

করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু : করোনা যুদ্ধে জীবন দিলেন আরও এক পুলিশ সদস্য। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল জলিল (৫৫)। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি নওগাঁর আত্রাই থানার দীপ চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

গতকাল পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের ব্যবস্থাপনায় লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। করোনা যুদ্ধে এ নিয়ে পুলিশের ২০ জন সদস্য জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর