আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক না কেন তাকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সে নিজ দলের হোক, অন্য দলের হোক কিংবা প্রশাসনের কেউ হোক। দুর্নীতিবাজদের নিস্তার নেই। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি। শনিবার রাতে করোনাকালীন সংকট নিয়ে বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’-এর নবম পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দুর্নীতিবাজদের জনগণের সামনে চিহ্নিত করে এমন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে যাতে কেউ আর দুর্নীতি করার সাহস না পায়। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি। তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী। এ ক্ষেত্রে যে কথাটি এসেছে, কিছু দুর্নীতিবাজকে আমরা দেখতে পেরেছি। সে কে, কোন দল করে, তা কিন্তু দেখা হয়নি। যারাই দুর্নীতিবাজ তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
নাছিম বলেন, দেশ ও দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমগ্র আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের এই দুর্দিনের নেতা-কর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছেন।
আমাদের দলীয় জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের পাশে থেকেছেন, এখনো আছেন। করোনামুক্ত বাংলাদেশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও জনপ্রতিনিধিরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জনগণের পাশে আছেন এবং থাকবেন।চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম ইতিমধ্যে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। আসলে করোনা মোকাবিলা করার জন্য যে প্রস্তুতি তা কোথাও ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন ইতিমধ্যে তিনি সব গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, সেই হিসেবে স্বাভাবিক কারণে আমার ওপর নির্ভর করে দলের ভাবমূর্তি, দলের গ্রহণযোগ্যতা এবং পাশাপাশি সরকারের একটা ভাবমূর্তি নির্ভর করে। সেই কারণে আমি প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে, অগ্রাধিকার দিয়ে, আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একদম শুরু থেকে চট্টগ্রামের রাজপথে, চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে গিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।